বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ থেকে:: ঢাকার পাশে দোহার উপজেলার পদ্মা তীরে মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠছে। বিগত এক যুগেও হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। তাঁদের দাবি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগ নেয়া হোক। এখানে প্রায় দুই শতাধিক দোকান ও স্থাপনায় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে। ফলে সন্ধ্যার আগে তাঁদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়। ঢাকা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিনে গিয়ে সন্ধ্যায় দেখা যায়, মৈনট ঘাটে শতাধিক মুদি দোকান, ১৫/২০টি খাবার হোটেল এছাড়া তেলের দোকান, চায়ের স্টল, কিছু অফিস অন্ধকারে কাজ করছে। কেউ কেউ হয়তো সোলার লাইট দিয়ে কাজ পরিচালনা করছে। এতে তাঁদের ব্যয় বেশী হয়। এছাড়া দিনের আলো চলে গেলেই নেমে আসে অন্ধকার। ফলে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই তাঁদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ঘরে ফিরতে হয়। গুলিস্থান মৈনট চলাচল করে অর্ধশত বাস। বাস সমিতির অফিসেও নেই কোনো আলোর ব্যবস্থা।
মুদি দোকানী আলমগীর বলেন, জনবহুল এ মৈনটঘাটে বিদ্যুতের অভাবে অনেক ব্যবসাই ক্ষতির মুখে পড়ছে। দর্শনার্থীরা সূর্য ডুবে গেলেই চলে যায়। বিকেলে ঘুরতে আসে শত শত নারী পুরুষ। বিদ্যুত নেই বলে দোকানীরা কেউ ফ্রিজও ব্যবহার করতে পারছে না। এত ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করতে হয় বরফের টুকরো দিয়ে।
অন্ধাকারে মৈনটঘাট, ১২ বছরেও হয়নি বিদ্যুত সংযোগ
ঘাটের দায়িত্বে থাকা আক্তার হোসেন বলেন, তিন বছর আগে একটি পাবলিক শৌচাগার নির্মাণ করেছে জেলা পরিষদ। কিন্তু বিদ্যুত না থাকায় সেটাও ব্যবহার অযোগ্য। তালাবদ্ধ থাকে সব সময়। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থী বা মেহমান এটা ব্যবহার করতে পারছে না। তিনি মৈনটঘাট এলাকায় দ্রুত বিদ্যুত সংযোগের দাবি জানান।
লঞ্চঘাটের ইজারাদার আবুল বাসার বলেন, একাধিকবার দোহার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে গিয়েও কাজ হয়নি। তাঁরা আবেদন গ্রহণ করতেই নারাজ। তাঁদের গড়িমশির কারণে এ ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায়ী সজিব হোসেন বলেন, জেনারেটরের উপর ভরসা করে কাজ করতে হয়। কিন্তু এতে প্রচুর ব্যয় হয়। মাঝে মাঝে হোটেল বন্ধ রাখি। বছরের পর বছর এভাবে বিদ্যুৎহীন চলা সম্ভব নয়।
মিনি কক্সবাজারে ঘুরতে আসা মোতালেব দেওয়ান বলেন, সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে ঘুরবো বা বসে পদ্মার দৃশ্য দেখার সুযোগ নেই। এলাকাটিতে অন্ধকার নেমে আসে। এখানে বিদ্যুতায়ন হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বাড়বে সরকারের রাজস্ব। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুত সমিতি- ২ এর জিএম মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খুটি পোঁতা আছে। বাকি প্রক্রিয়া শেষ হলে সংযোগ দেয়া যাবে। তবে সেটা কত দিন লাগবে তা তিনি বলতে পারছেন না।